টেস্ট মযার্দা পাওয়ার দীর্ঘ ১৮ বছর পর র্যাঙ্কিংয়ে ৮ নাম্বারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের এই দীর্ঘ পথ চলা কখনো মসৃন ছিলো না। কয়েকবার পরাশক্তি গুলো বাংলাদেশের টেস্ট মযার্দা নিয়ে বাজে মন্তব্যের পাশাপাশি টাইগারদের টেস্ট স্টাটাস তুলে নেওয়ার দাবি জানায়। কিন্তু ব্যাটে-বলে ফের বাংলার ছেলেরা জাবাব দেয়, সুযোগ পেলে তাদেরও আছে প্রমাণ করার যোগ্যতা। গত ২-৩ বছর যাবত দেশে ও দেশের বাইরে টেস্ট ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করছে বাংলাদেশ। তারই পুরষ্কার স্বরূপ
আইসিসির প্রকাশিত সর্বশেষ র্যাঙ্কিংয়ে আট নাম্বারে সাকিব-মুশফিকরা।
বাংলাদেশের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বাসীত সিনিয়র ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বলেন,‘বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য এটি বড় কিছু নয়। তবে আমাদের ক্রিকেটের জন্য বড় মাইলফলক। জিম্বাবুয়েকে আমরা অনেক আগেই ছাড়িয়েছি। এরপর দীর্ঘদিন নয়ে ছিলাম। পরের ধাপে ওঠার বাধাটা দূর করা জরুরি ছিল। অবশেষে সেটা হলো।
যদিও কোনো সিরিজ খেলে বা জিতে এটা হয়নি। এরপরও টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের বার্ষিক হালনাগাদে উন্নতি করাটা বলে দেয় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের পারফরম্যান্স ভালো ছিল। সেটির পুরস্কারই মিলেছে র্যাঙ্কিংয়ে।
১৮ বছর সময় এমনিতে মনে হতে পারে অনেক বেশি। তবে টেস্টে উন্নতি করা কঠিন। র্যাঙ্কিংয়ে সিড়ি বেয়ে ওঠাও কঠিন। যে সময়টায় আমরা টেস্টে নিয়মিত জিততে শিখিনি, তখন যদি আরেকটু বেশি ড্র করতে পারতাম, তাহলে হয়ত আরও আগে এই উন্নতি হতো। তবে যেটা বললাম, কাজটা অনেক কঠিন।
এবার র্যাঙ্কিংয়ের এই উন্নতি সম্ভব হয়েছে মূলত ঘরের মাটিতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে। আমার মতে, দেশের মাটিতে টার্নিং উইকেটে খেলার সিদ্ধান্তটি খুব ভালো সিদ্ধান্ত ছিল। তার আগে পর্যন্ত আসলে উন্নতিটা উল্লেখযোগ্য ছিল না। কোনো কাজও হচ্ছিল না। এই সিদ্ধান্তে ঝুঁকিও ছিল। আমরা যেমন হেরেছিও টার্নিং উইকেটে খেলে। তবে জিততেও শিখেছি। এই চ্যালেঞ্জ নেওয়াটা দরকার ছিল। ইতিবাচক ভাবলে ফলও পক্ষে আসে।
এখন পরের চ্যালেঞ্জ হলো এখান থেকে উন্নতি করা। সেটির জন্য দেশের বাইরে ভালো করতে হবে। আর বেশি বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পাওয়াও জরুরি। যদি আগামী ৩-৪ বছর মিলিয়ে ১০-১২ টি টেস্ট খেলার সুযোগ আসে, তাহলে তো ৫ বছর পরও এখান থেকে র্যাঙ্কিংয়ে এগোনো যাবে না। বেশি বেশি টেস্ট খেলতে হবে এবং সে সবকে কাজে লাগাতে হবে। তাহলেই র্যাঙ্কিংয়ে আরও উন্নতি সম্ভব। ’
এছাড়া সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এটাকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় প্রাপ্তি বলে মনে করেন।