বাংলাদেশে পেস অলরাউন্ডারের অভাব, এমনটাই মানুষের মুখে মুখে, কিন্তু সময়ে সময়ে পর্যাপ্ত পেস অললাউন্ডার এসেছে বাংলাদেশ টিমে, কিন্তু নিজেদের ব্যর্থতা, সঠিক পরিচর্যা ও মূল্যায়ণের অভাবে প্রায় সকলেই অসময়ে ঝড়ে পড়েছেন, মাঝখানে ফরহাদ রেজাই কিছুদিন খেলেন, তাও অভিষেকেই প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ফিফটি করার সুবাদে। এছাড়া আর কেউ বেশিদিন টিকতে পারেননি।
২০০৯ সাল, ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের সাথে একজন পেস বোলার হিসেবে মাহবুবুল আলম রবিনের অভিষেক। ম্যাচে ব্যাট হাতে ২২ রান করেন, বল হাতে ৬৬ রান দিয়েও উইকেট শুণ্য থাকেন। তারপরের দুই ম্যাচে ব্যাটিং পাননি, উইকেট পেয়েছেন ১,২ মোট ৩টি।
ক্যারিয়ারের ৪র্থ ম্যাচে আবারো জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ। বুলাওতে আগে ব্যাট করে মাসাকাদজার ১০২ ও টেলরের ৯৪ রানের সুবাদে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২৩ রান করে জিম্বাবুয়ে। রবিন ২ উইকেট শিকার করেন। এ ম্যাচে ব্যাট হাতেই তান্ডব চালান রবিন। দলের চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৯ নাম্বারে ব্যাট করতে নেমে রীতিমত ঝড় বইয়ে দেন জিম্বাবুয়ের বোলারদের উপর। মাত্র ৩৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন রবিন, শেষে ৪৩ বলে ৩ ছয় ও ২ চারে ৫৯ রান করে আউট হন। বাংলাদেশ ২৫৪ রানে অলআউট হলে জিম্বাবুয়ে ৬৯ রানে জয়লাভ করে।
রবিনের ৫ ম্যাচ ক্যারিয়ারে মাত্র দুবার ব্যাট হাতে নেমেছেন এবং ২২ ও ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন। বল হাতে ২ উইকেট বেস্টে ৭ উইকেট শিকার করেছেন, যা সফলতারই অংশ। যদিও রবিন অলরাউন্ডার ছিলেন না। সবধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে একটিমাত্রই ফিফটি তথা ৫৯ রান। তবুও ব্যাট হাতে তান্ডব চালাতে পারা রবিন জাতীয় দলে ৫ ম্যাচের পর আর বিবেচিত হননি। অবশ্য ৪টি টেস্ট খেলে ৫ উইকেট শিকার করেছেন মাত্র। ওয়ানডেতে মাত্র দুই ম্যাচে ব্যাট করে ৮১ রান, সেরা ক্রিকেটের অংশই বলতে হবে।